শ্রীলংকার কলোম্বস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত করেছে। রোববার (১৭ মার্চ) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে শ্রীলংকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, দূতাবাস-পরিবারের সদস্য ও শিশু-কিশোরদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণে মিশন প্রাঙ্গণে এক আনন্দমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

জাতীয় পতাকাউত্তোলন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে হাইকমিশনার তারেক মো: আরিফুল ইসলাম দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পরে জাতির পিতা ও ১৫ই আগস্ট শাহাদৎ বরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্য ও অন্যান্যদের আত্মার মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর শিশুপ্রেম ও শিশুদের কল্যাণে তাঁর এবং বর্তমান সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপকে উপজীব্য করে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত- রাস্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন এবং আলোচনা সভায় অংশ গ্রহণ করেন। আলোচনায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর গভীর রাজনৈতিক দর্শন ও তাঁর কর্মময় জীবন, শিশুদের প্রতি তাঁর অপরিসীম ভালবাসা এবং তাঁর জন্মদিনে জাতীয় শিশু দিবস পালনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।

হাইকমিশনার তারেক মোঃ আরিফুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন ও তাতে শিশুদের উপর প্রদত্ত গুরুত্ব,
শিশুদের সার্বিক কল্যণের জন্য বিশেষ আইন প্রণয়নে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করেন এবং নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করে দেশ গড়ার আহবান জানান। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের শিশু-বান্ধব উন্নয়ন কার্যক্রমের উপরও আলোকপাত করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে সন্ধ্যায় শিশু-কিশোরদের মাঝে "মাতৃভূমি" শীর্ষক চিত্রাঙ্কন এবং " বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ " বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং তাঁদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

 

প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ এবং উপস্থিত শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর কেক কাটা এবং ইফতার আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন শেষ হয়।